দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি o গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট গঠিত বোর্ডের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব কবীর আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিলাম আহ্বান করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি গাড়িগুলোর নিলাম হবে। নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে, ইভ্যালির মালিকানাধীন একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রিউস, একটি টয়োটা সি এইচ আর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস আপাতত নিলামে তোলা হয়েছে। এসব গাড়ির ন্যূনতম নিলাম মূল্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২০ সালে তৈরি রেঞ্জ রোভারের ন্যূনতম নিলাম মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া টয়োটা প্রিউসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার, টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ, টয়োটা এক্সিওর প্রতিটির দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডির উইন্সকোর্ট অফিস থেকে এ নিলামের নিবন্ধন কার্ড নিতে পারবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিলামের দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৫ ও ৬
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার:
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ :
আমাদের মাঝে মধ্যে রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, আর ঘুম আসে না। এতে ভয়ের কিছু নেই। প্রতি রাতেই এমন হলে চিন্তার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানব শরীরে বেশ কয়েকটি ‘এনার্জি মেরিডিয়ন’ রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এনার্জি জোগায়। এবং সেই কারণেই রাতে গভীর ঘুমও ভেঙে যায়। এনার্জি মেরিডিয়ন আমাদের শরীরে যখন সক্রিয় হয়ে উঠে, তখন ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
রাত ১১টা থেকে ১টা - এই সময়ে মানুষের শরীরের গল ব্লাডারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর থেকে ধরে নেওয়া হয় আপনি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ। এজন্য নিজেকে ভালোবাসা এবং ক্ষমা করতে শিখুন।
রাত ১টা থেকে ৩টা। এই সময়ে লিভারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সময়ে ঘুম ভাঙলে বুঝতে হবে, আপনি অল্পতেই রেগে যান। ঠাণ্ডা পানি পান করুন। মনে করার চেষ্টা করুন কী কারণে আজ অপনি রেগে গিয়েছিলেন। এবং চেষ্টা করুন তা সমাধান করতে।
রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা। এই সময়ে লাঙ্গসের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে আপনি দুঃখ অনুভব করতে পারেন। এই সময়ে ঘুম ভাঙলে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেকে আশাবাদী করুন।
এছাড়া কোনো কারণ ছাড়াও ঘুম ভাঙতে পারে। যাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনারশিয়া’। এ সময় ঘুম ভাঙলেও মানুষের মস্তিষ্ক পুরোপুরি সজাগ থাকে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরিলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের বিহেভিওরাল স্লিপ মেডিসিন প্রোগ্রামের পরিচালক মাইকেল পেরিলস বলেন:
রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দিনে ঘুমাবেন না। পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঘুমাতে যাবেন না। দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। নিয়মিতভাবে রাত তিনটায় ঘুম ভেঙ্গে গেলে তা মোকাবিলায় আরো কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি:
তীব্র আলো মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। টয়লেটে যাওয়ার দরকার হলে রাত-বাতি ব্যবহার করুন।
২.ঘুম ভাঙ্গার পর শুয়ে থাকবেন না:
আপনি যদি পুরোপুরি জেগে ওঠেন তাহলে বিছানায় শুয়ে না থেকে বরং উঠে পড়ুন এবং এমন কিছু একটা করুন যা আপনার মস্তিষ্ককে উত্তেজিত না করে বরং শান্ত করবে।
৩.কিছু খাবেন না:
শেষ রাতে খাবার খেলে ওজন বাড়ে। আপনার শরীরও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। ফলে প্রতিরাতেই ওই সময় খাবার গ্রহণের জন্য আপনার দেহও ঘুম থেকে জেগে উঠতে চাইবে।
৪.ঘড়ির দিকে তাকাবেন না:
শেষরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ঘড়ির দিকে তাকাবেন না। কারণ এর ফলে আর কয়েক ঘন্টা পরই ঘুম থেকে জেগে উঠতে এবং বিছানা ছাড়তে হবে এই চিন্তায় আপনার মানসিক চাপ আরো বেড়ে যাবে। আর মানসিক চাপ বেড়ে গেলে ফের ঘুমানোটা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
অনিদ্রার চিকিৎসা কী:
উত্তর: বেশির ভাগ ঘুমের ওষুধই আসক্তি তৈরি করে এবং দিনের পর দিন এগুলো সেবন করা ভালো নয়। প্রয়োজনে ওষুধ সাময়িকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো সেবন করতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জেগে ওঠা, শোবার ঘরটিকে শুধু ঘুমানোর জন্যই ব্যবহার করা, শোবার আগে টেলিভিশন, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ডিজিটাল গেমিং না করা এবং সন্ধ্যার পর বেশি চা-কফি পরিহার করা উচিত। ঘুমের আগে হালকা গরম পানিতে গোসল বা হাত-পা ধুয়ে নিলে ঘুম আসে। ঘুম না এলে বিছানা ছেড়ে উঠে একটু হেঁটে এসে বা বই পড়ে আবার ঘুম এলে শুয়ে পড়তে হবে।ঘুমের ওষুধে আসক্তি হয়ে গেলে কী করণীয়:
উত্তর: ঘুমের পরিবেশ বা স্লিপ হাইজিনকে জোরদার করে ওষুধের মাত্রা ধীরে ধীরে কমানো বা পরিবর্তন করা যাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন