সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইভ্যালির ৭টি গাড়ি নিলামে

 দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি o গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট গঠিত বোর্ডের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব কবীর আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিলাম আহ্বান করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি গাড়িগুলোর নিলাম হবে। নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে, ইভ্যালির মালিকানাধীন একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রিউস, একটি টয়োটা সি এইচ আর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস আপাতত নিলামে তোলা হয়েছে। এসব গাড়ির ন্যূনতম নিলাম মূল্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২০ সালে তৈরি রেঞ্জ রোভারের ন্যূনতম নিলাম মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া টয়োটা প্রিউসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার, টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ, টয়োটা এক্সিওর প্রতিটির দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডির উইন্সকোর্ট অফিস থেকে এ নিলামের নিবন্ধন কার্ড নিতে পারবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিলামের দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৫ ও ৬

ভোরবেলায় সন্তান জন্ম দিয়ে সকালেই বিসিএস পরীক্ষায় যোগদান, সেই মা এখন ক্যাডার!

সুপর্ণা দে

অদম্য সেই ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে সবই সম্ভব তা প্রমাণ করে দিলেন সুপর্ণা দে। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। 

কিন্তু শেষ পরীক্ষার আগের দিন প্রসবব্যথা উঠল। রাতে নেওয়া হলো হাসপাতালে। ভোর সাড়ে চারটায় তাঁর কোলজুড়ে এল ছেলে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন্দ্রে গেলেন। তিন ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে ক্লান্ত শরীরে ফিরলেন নবজাতকের কাছে। অদম্য সেই ইচ্ছাশক্তির জোরেই সুপর্ণা দে এখন বিসিএস ক্যাডার। ৩৫তম বিসিএসে (প্রাণিসম্পদ) সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১১তম হয়েছেন তিনি। 

সুপর্ণা দে বলেন, ‘আমার কাছে এখনো পুরো ঘটনা অলৌকিক মনে হয়। আমার প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছিল। শেষ পর্যন্ত পেরেছি।’ বিসিএসে উত্তীর্ণদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি অভিনন্দনবার্তার সূত্র ধরে জানা যায় সুপর্ণার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী। বাবা-মা দুজনেই স্কুলশিক্ষক। ২০০৩ সালে বাঁশখালী গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রাণিসম্পদ বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিস্টারে থাকতেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। অবশ্য বিয়ের সময়েই পাত্রপক্ষের কাছ থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন। ২০১২ সালে পাস করেন সুপর্ণা। সে বছরের ডিসেম্বরে মেয়ের মা হন তিনি। 

২০১৪ সালে ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিলে আবেদন করেন। গত বছরের ৬ মার্চ যখন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, তখন তিনি আবার অন্তঃসত্ত্বা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। চিকিৎসকেরা জানান, সন্তানের জন্ম হবে সেপ্টেম্বরের শেষে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন তিনি। কারণ, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষা। ১ সেপ্টেম্বর ইংরেজি, পরদিন বাংলাদেশ বিষয়াবলি, ৩ সেপ্টেম্বর সকালে গণিত, বিকেলে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির পরীক্ষা দেন। 

৬ সেপ্টেম্বর ছিল সাধারণ ক্যাডারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষা। কিন্তু সেদিন সকালেই তীব্র ব্যথা শুরু হলে পরীক্ষাটি দেওয়া হয়নি। ফলে প্রশাসন, পুলিশের মতো সাধারণ ক্যাডারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়েন। তবে এই পরীক্ষা না দিলেও পেশাগত ক্যাডারের জন্য

বাকি পরীক্ষাগুলো দেওয়া যায়। ৭ সেপ্টেম্বর ছিল বাংলা পরীক্ষা। স্মৃতিচারণা করে সুপর্ণা বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর রাতেই আমাকে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লার মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর সাড়ে চারটায় ছেলের জন্ম। ভাবলাম, যে করেই হোক পরীক্ষা দেব। 

অ্যাম্বুলেন্সে করে সকালে কেন্দ্রে গেলাম। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা দিলাম। লিখিত পরীক্ষার ফল দিলে দেখি উত্তীর্ণ হয়েছি। ভীষণ ভালো লাগল। মনে হলো স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছেছি। মৌখিকও ভালো হলো। বুধবার চূড়ান্ত ফল দেখে মনে হলো, পৃথিবী জয় করেছি।’ সুপর্ণার মা বাঁশখালী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অপর্ণা নন্দী। 

মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, ‘আমাদের অনুরোধে চিকিৎসকেরা স্বাভাবিক প্রসব করান। মেয়েটাও পরীক্ষা দিল। আজ আমরা খুব খুশি।’ সুপর্ণার বাবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপনেন্দু দেও মেয়ের সাফল্যে আনন্দিত। সুপর্ণা শুধু সংসার করছেন দেখে হতাশ হতেন স্বামী ব্যবসায়ী টিটো শিকদার। বললেন, ‘স্কুল থেকে ফিরে সংসার সামলানো, বিসিএসের প্রস্তুতি। পেটে আরেকটা বাচ্চা। কিন্তু ও সব জয় করেছে।’

বাবা সিকিউরিটি গার্ড, মা কাজের বুয়া ছেলে এখন জজ! সংসার চালাতে কিছুদিন আগেও রাজধানীর উত্তরায় একটি বাড়িতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছিলেন মোশারফ হোসেন। তার স্ত্রী’ মাহফুজা খাতুন এলাকার অনেকের বাড়িতে করেছেন বুয়ার কাজ। 

বাবা-মায়ের ক’ষ্টে উপার্জিত সেই টাকায় পড়ালেখা করে তাদের বড় সন্তান গোলাম রসুল সুইট এখন সহকারী জজ। ১২তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৬৭তম হয়েছেন তিনি। ১৯ জানুয়ারি ঘোষিত গেজেটে তালিকা প্রকাশ করা হয়। আগামী মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সহকারী জজ হিসেবে পিরোজপুর জে’লায় যোগদান করবেন তিনি। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজে’লার পারুলিয়া ইউনিয়নের কোম’রপুর গ্রামের বাবা মোশারফ হোসেন ও মা মাহফুজা খাতুনের বড় ছেলে গোলাম রসুল সুইট।

 ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সুইট। পরিবারের অভাবও দমাতে পারেনি তাকে। ঠিকমতো খেতে না পারা সেই গোলাম রসুল সুইট এখন জজ। জাগো নিউজের সঙ্গে নিজের পরিবার ও লেখাপড়া নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন সহকারী জজ গোলাম রসুল সুইট। তিনি বলেন, শাখরা কোম’রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভোম’রা ইউনিয়ন দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেছি। এরপর দেবহাটা উপজে’লার সখিপুর খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ্ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আমাদের পরিবারে তখন খুব অভাব। বাবাও ছিলেন উদাসীন। 

কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন চলতো আমাদের। সুইট আরও বলেন, কলেজ শেষ করার পর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন সময় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। সেখান থেকে এক ভাই আমাকে পরাম’র্শ দেয় ঢাকায় গিয়ে কোচিং করার। কিন্তু পরিবারের সেই অবস্থা ছিল না। মায়ের একটি গরু ছিল। সেই গরুটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে ২০১০ সালের ১৭ মে ঢাকা যাই। এরপর একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই। তিনি বলেন, কিছুদিন পর মায়ের গরু বিক্রি করা সেই টাকাও ফুরিয়ে যায়। বাড়িতেও টাকা চাওয়া বা পরিবারে দেয়ার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। কা’ন্নাকাটি করেছিলাম কোচিং পরিচালকের সামনে। এরপর তিনি আমাকে

সেখানে বিনামূল্যে কোচিং ও থাকার ব্যবস্থা করেন। এরই মধ্যে সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের বন্ধু হয়ে যাই আমি। বন্ধুরাও আমা’র পারিবারিক অবস্থা জানার পর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে। বন্ধুদের সহযোগিতার কথাগুলো ভুলে যাওয়ার নয়। মা ও বাবা মাঝে মধ্যে এক হাজার বা দুই হাজার করে টাকা দিত। গত এক মাস আগে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে। মাকেও এক বছর আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার গল্প জানিয়ে গোলাম রসুল সুইট বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ হয়। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরাম’র্শে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হই। ভর্তির পর টিউশুনির পোস্টার ছাপিয়ে অ’ভিভাবকদের কাছে

বিতরণ শুরু করি। এভাবে পাঁটি টিউশুনি জোগাড় হয়ে যায়। এভাবেই চলেছে আমা’র শিক্ষাজীবন। আত্মীয়-স্বজনরা কখনও খোঁজ নেয়নি; তবে আমা’র বন্ধুরা আমা’র পাশে থেকেছে সব সময়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ফলাফলে বি-ইউনিটে মেধাতালিকায় হয়েছি ১১তম। ১২তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে হয়েছি ৬৭তম। ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এর মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ৯৭ জনের। তিনজন পু’লিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার পিরোজপুর জে’লার সহকারী জজ হিসেবে যোগদান করবো জানিয়ে তিনি বলেন, আমা’র বড় লোক হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। সব সময় ন্যায়ের পথে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। কখনও অনিয়ম বা দু’র্নীতির সঙ্গে জ’ড়িত হবো না। যখন চাকরিজীবন শেষ করবো তখন যেন অ’বৈধ উপায়ে উপার্জনের একটি টাকাও আমা’র ব্যাংক একাউন্টে না থাকে। আমা’র কাছে সব মানুষ ন্যায়বিচার পাবে।

অসহায় মানুষরা কখনই ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না। দুস্থ পরিবারের সমস্যাগুলো আমি বুঝি, জানিয়ে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গোলাম রসুল সুইট বলেন, টাকা-পয়সা লেখাপড়ার পথে কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সে এগিয়ে যাবেই, পথ বেরিয়ে যাবেই। সুইটের বাবা মোশারফ হোসেন জানান, রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে আট বছর সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেছি। আম’রা স্বামী-স্ত্রী’ দুজনই থাকতাম। স্ত্রী’ অন্যের বাড়িতে কাজ করতো। এক মাস আগে ছেলে চাকরিটা ছেড়ে দিতে বলেছে। তাই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছি। ছেলে বলেছে, আমি এখন চাকরি পেয়েছি আপনার কাজ করতে হবে না। ভাবছি, এলাকায় ছোট একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করবো। অন্যের বাড়িতে কাজের বুয়া থাকাকালীন সময়ে সেসব কথা মনে করে কেঁদে ওঠেন মা মাহফুজা খাতুন। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করতাম। স্বামী

আর আমা’র টাকা দিয়েই চলতো সংসার আর দুই ছেলের খরচ। আম’রা যেটুকু পেরেছি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ছেলের লেখাপড়া করানোর জন্য। দোয়া করেছি। আল্লাহ্ আমাদের ডাক শুনেছেন। দোয়া কবুল করেছেন। আমি অনেক খুশি। এখন সব মানুষের কাছে আমা’র ছেলের জন্য দোয়া চাই। গোলাম রসুল সুইটের বাল্যবন্ধু জাবিরুল ইস’লাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী ছিল রসুল। আম’রা একসঙ্গেই লেখাপড়া করতাম। কখনও কারও সঙ্গে সে জো’র গলায় কথা বলেছে, আমাদের জানা নেই। দেবহাটার পারুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, খুব অভাবি ছিল তাদের পরিবার। জমি জায়গা কিছুই নেই। মা-বাবা খুব ক’ষ্ট করে ছেলেটাকে লেখাপড়া শিখিয়েছে। ছেলেটাও খুব ভালো। জজের চাকরি পেয়েছে। এতে এলাকার সব মানুষ খুশি হয়েছে।

পরিশ্রমী ব্যক্তি কখনও ব্যর্থ হয়না, কোন না কোন রাস্তা তার জন্য খুলে যায়ঃ জ্যাক মা

জ্যাক মা বা মা ইয়ান একজন চাইনিজ উদ্যোক্তা। জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট আলিবাবা ডট কমের ফাউন্ডার। হাজার হাজার তরুন উদ্যোক্তাদের আইডল। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ২৬ তম ধনী ব্যক্তি তিনি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমান ২৭ বিলিয়ন ডলার এর উপর। পরিশ্রমকারী ব্যক্তি কখনও ব্যর্থ হয়না, কোন না কোন রাস্তা তার জন্য খুলে যায় একদিন। বিল গেটস থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যক্তিরা আজকের এ অবস্থানে আসতে পেরেছেন, শুধুমাত্র নিজেদের পরিশ্রমের কারনে।জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট Alibaba.Com এর কর্ণধার এবং চীনা কোটিপতি জ্যাক মার গল্পটাও সেরকম। জ্যাক মাকে না চিনলেও Alibaba.Com চিনেনা, এরকম মানুষ কম পাওয়া যাবে। এ জ্যাক মা এখনকার অবস্থানে কখনও ছিলেননা। উনার আজকের এ উথ্থানটাই হয়েছে Alibaba.Com এর মাধ্যমে। যখন উনি এ ওয়েবসাইট নিয়ে ভাবেন, তখন

চীনের ইন্টারনেট এত বেশি ব্যবহৃত হত না। সেই দেশে বসে এধরনের ওয়েবসাইটের কল্পনা করাটাও আসলে তখন অনেক রিস্কের ছিল। জ্যাক মা যুব সমাজের জন্য, যারা নিজেরা কিছু একটা করে দেখাতে চায়, তাদের জন্য কয়েকটি উক্তি করেন – আপনার দরিদ্র হয়ে জন্মানোটা দোষের না কিন্তু দরিদ্র হয়ে থাকাটাই দোষের। আপনি যদি একটি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে নিজের ৩৫ বছর বয়সেও সেই দরিদ্রই থাকেন তবে দরিদ্র হয়ে থাকাটা আপনার কপালের দোষ নয়, আপনি এটি প্রত্যাশা করেন। কারন আপনি আপনার যুবক বয়সকে কোন কাজে লাগাতে পারেন নি, আপনি সম্পূর্ণ ভাবে সময়টা নষ্ট করে দিয়েছেন। জীবনে অনেক উপরে উঠতে হলে ২৫ বছর থেকেই শুরু করুন, নিজে পরিকল্পনা করুন, তাই করুন যা আপনি উপভোগ করতে জানেন। এগিয়ে যাও তা না হলে ঘরে ফিরে যাও। গরীব কারণ আপনার দূরদর্শিতার অভাব। আপনার দারিদ্রতা কারণ আপনি আপনার ভীরুতাকে জয় করতে পারেন নি। গরীব কারণ আপনি আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা, ব্যবহার করতে পারেন নি। আপনি দরিদ্র তাই সবাই আফসোস করবে কেউই

আপনাকে সচ্ছল বানিয়ে দিবেনা। যখন আপনার বাবা মায়ের চিকিৎসা ব্যয় আপনি মিটাতে পারবেন না কেউই আপনাকে তা দিবেন না। নিজের জন্য নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা করতে হবে, ভাবনার সাথে প্রয়গিক বাস্তবতার সন্নিবেসন ঘটাতে হবে। জ্যাক মা আরো বলেন, অনেকেই হতাশ হয়ে যায় যখন আমাদের টাকা থাকে তখন আমরা ভুল করা শুরু করি। তুমি যদি হাল ছেড়ে না দাও তবে এখনো তোমার সুযোগ আছে। হাল ছেড়ে দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। কখনো কোনদিন সরকারের সাথে ব্যবসা করো না। তাদের সাথে ভালোবাসা রেখো কিন্তু বিয়ে করো না। আমি নিজেকে সবসময় আনন্দিত রাখতে চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি যদি আমি খুশি না থাকি তবে আমার সহকর্মী,অংশীদার ও ক্রেতারাও খুশি থাকবে না। সুযোগ সেখানেই নিহিত যেখানে অভিযোগ আছে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মমতায় ভরা সুন্দর একটি ঘটনা , অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির বিড়াল মা !

হৃদয় জমে ক্ষীর হয়ে যাওয়ার মতই একটা সুন্দর ঘ’টনা ঘ’টেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে। পথের ধারের একটি মা বিড়াল তার অসুস্থ শিশুকে নিয়ে হাজির হয়েছে সেখানে।ভাগ্য ভালো যে, বিড়ালটি একেবারে সঠিক জায়গাতেই তার সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়েছে। ঠিক হাসপাতালটির ডাক্তার নার্সদের কাছেই বিড়ালটি তার শিশুকে মুখে করে নিয়ে যায়। ডাক্তাররাও হতা’শ করেননি। চরম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ছোট্ট কটন বলের মত সুন্দর আর নরম বিড়ালছানাটিকে তারা তু’লে নিয়েছেন কোলে। পরীক্ষা করে দেখেছেন, বিড়ালটির বিশেষ কোন সমস্যা আছে কিনা। সঙ্গে তাদেরকে কিছু দুধ আর খাবার দিয়ে আপ্যায়নও করা হয়। এসব পেয়ে তারাও একটু শান্ত হয়।মা ও ছানা উভয়েরই স্বাস্থ্য ঠিক আছে বলে জানা গেলেও পরে তাদের পশু ডাক্তারের কাছেও পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।মেরভ ওযকান নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে এই বিড়াল মা ও বিড়ালছানার ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর থেকেই ভাইরাল হয়ে পড়ে ঘ’টনাটি। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

যেভাবে গ্যাস থেকে সৃষ্ট পেট ব্যথা দূর করবেন

খাবারের অনিয়ম বা জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে অনেকেই গ্যাস থেকে সৃষ্ট পেট ব্যথা ভোগেন। অনেক সময় এমন ব্যথা মা’রাত্ম’ক আকার ধারণ করে। এjতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। গ্যাসের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- ব্যায়াম : গ্যাসের ব্যথা কমাতে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম করলে গ্যাসের ব্যথা কিছুটা হলেও নিরাময় হয়। এজন্য মেঝেতে উপুর হয়ে বসে পা দুটি সাইকেল চালানোর মতো রেখে হাত দুটি পাশে রাখুন। বড় করে নিঃশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে গ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন। খাওয়ার পরে কিছুটা হাঁটলেও গ্যাসের সমস্যা কমে। এছাড়া গ্যাসের সমস্যা কমাতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করতে পারেন। পুদিনা পাতা : গবেষণায় দেখা গেছে, পুদিনা পাতার তেল ডায়রিয়া, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টিপেসমোডিক গুণাগুণ পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত গ্যাসের ব্যথায় ভোগেন তারা খাওয়ার আধঘন্টা আগে পুদিনা পাতার ক্যাপসুল খেতে পারেন। গ্যাসের ব্যথা নিরাময়ে এই পাতার রস, তেলও খেতে পারেন। হিট প্যাড : কিছু গবেষণা বলছে, হিটিং প্যাড ব্যবহার করলে অতিরিক্ত গ

দিঘার সমুদ্রে ধরা পড়লো ৬০০ কেজি ওজনের হাঙ্গর’ দাম ৮০ হাজার।

সমুদ্রে মাছ ধ’রাকালীন প্রায়শই মৎস্যজীবীদের জালে বড়ো বড়ো সামুদ্রিক মাছ উঠে আসে। সেই সামুদ্রিক মাছ নিলামে বেশ ভালো দরেই বিক্রি হয়ে থাকে। এবারেও কিন্তু তার অন্যথা হলো না।  সম্প্রতি দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ধ’রা পড়েছে বিশাল আকৃতির এক হা’ঙ্গর! প্রায় ৬০০ কেজি ওজনের ওই হা’ঙ্গরকে দানবের স’ঙ্গে তুলনা করলেও কিছু বেশি বলা হয় না। মৎস্যজী.বীদের জালে এই বিশাল আকৃতির হা’ঙ্গর ধ’রা পড়তেই দীঘার সমুদ্র সৈকতে নিমেষের মধ্যে খবর ছড়িয়ে যায়। হা’ঙ্গর দেখতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান পর্যটকরা এবং স্থানীয়রা। হা’ঙ্গর দেখতে সমুদ্র সৈকতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। উৎসাহী মানুষদের মধ্যে হাঙরের ছবি ক্যামেরা বন্দী করার হিড়িক পড়ে যায়। দানব আকৃতির মাছ উ’দ্ধারকে কেন্দ্র করে এদিন দীঘার সমুদ্র সৈকতে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।এদিকে সমুদ্রগ’র্ভ থেকে দানব আকৃতির সামুদ্রিক হাঙর উ’দ্ধার করার পর মৎস্যজীবীরা সেটিকে দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানেই হাঙরটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষন দরাদরি চলে। শেষমেষ সিরাজ খান নামক এক ব্যবসায়ী মৎস্যজীবীদের থেকে মাছটি কিনে নেন। ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মৎস্যজীবীদের থেকে