সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইভ্যালির ৭টি গাড়ি নিলামে

 দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি o গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট গঠিত বোর্ডের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব কবীর আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিলাম আহ্বান করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি গাড়িগুলোর নিলাম হবে। নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে, ইভ্যালির মালিকানাধীন একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রিউস, একটি টয়োটা সি এইচ আর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস আপাতত নিলামে তোলা হয়েছে। এসব গাড়ির ন্যূনতম নিলাম মূল্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২০ সালে তৈরি রেঞ্জ রোভারের ন্যূনতম নিলাম মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া টয়োটা প্রিউসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার, টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ, টয়োটা এক্সিওর প্রতিটির দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডির উইন্সকোর্ট অফিস থেকে এ নিলামের নিবন্ধন কার্ড নিতে পারবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিলামের দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৫ ও ৬

যেভাবে প্রস্তুতি নিলে ২ মাসেই বিসিএস প্রিলি পাশ করা সম্ভব: বিসিএস প্রস্তুতি

বিসিএস প্রস্তুতি

বিসিএস এর সবচেয়ে কঠিন ধাপ হল প্রিলিমিনারি। বসিএস প্রিলি পাশ করাটা অনেক কঠিন কারন, এই ধাপে পরীক্ষার্থী তথা প্রতিযোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়। অনেকেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাদের উৎসর্গ করে এ লেখা। লেখাটি মূলত ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আগে লেখা হয়েছিল। যেভাবে প্রস্তুতি নিলে ২ মাসেই বিসিএস প্রিলি পাশ করা সম্ভব। ১। শুরুর কথা! বাংলাদেশের ১ নং সরকারি সার্ভিস হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বিসিএস)। 

সিভিল সার্ভিসের একজন গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার স্বপ্ন আমাদের অনেকের বুকের মাঝে লালিত আছে। সেই স্বপ্ন বাস্থবায়নের শুরুটা হচ্ছে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য নিজেকে এনলিস্টেড করতে পারা এবং পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত ফলাফলে নিজের নামকে দেখতে পারে। ৩৭তম বিসিএস যারা দিতে যাচ্ছেন তাদেরকে অগ্রিম শুভেচ্ছা। আপনারা জেনেছেন যে ৩৫তম বিসিএস থেকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে নম্বর বাড়িয়ে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০০ নম্বরের করা হয়েছে এবং সেই সাথে নতুন বাছাই পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়মের এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া দরকার তা নিয়ে অনেকেই কিছুটা চিন্তিত। অনেকেই মেসেজ করেছেন, কল করেছেন। ব্যস্ততার কারনে সবার উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না, সে জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। 

ধন্যবাদ আপনাদের যারা আমার মত অধমকে মূল্যায়ন করছেন। আপনাদের এই মূল্যায়ন আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে। যাই হউক একেকজন এর প্রস্তুতির ধরন একেক রকম। তারপর ও আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের জন্য একটা প্রস্তুতির ধরন এখানে দিলাম। আপনাদের সহায়ক হলে ও হতে পারে। সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন, মানবন্টনসহ বিস্তারিত আলোচনায় যাবার আগে কিছু বিষয় স্পষ্ট নেই। ক। চাই অলরাউন্ড প্রস্তুতি একটা অসাধারণ অলরাউন্ড প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দিবে আপনাকে আপনার অভিষ্ট্ লক্ষে। আপনি হয়ে যাবেন ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস এর একজন গর্বিত সদস্য। 

আপনি হবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন এ এস পি, একজন শিক্ষক ইত্যাদি! আর তাই এখনই অস্বাভাবিক সকল চিন্তাকে (কোটা, রাজনীতি, দুর্বল সিজিপিএ ইত্যাদি) পিছনে ফেলে এখন থেকেই প্রস্তুতির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সুতরাং এখনই আপনি ভুলে যান অস্বাভাবিক কোটা এর কথা, আপনার দুর্বল সিজিপিএ এর কথা। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন এইটা ও আপনাকে ভুলে যেতে হবে! আপনাকে নতুন ভাবে শুরু করতে হবে।

খ। জিরো থেকে হিরো!আপনি যখন একদম শুন্য (সবার ক্ষেত্রে না ও হতে পারে) থেকে শুরু করতে যাচ্ছেন তখন মনে করবেন যে আপনি জিরো থেকে হিরো হতে যাচ্ছেন! বিশেষ করে যে সকল পরীক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা প্রথমবারের মত ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা জিরো থেকে হিরো হবার মতই! নতুনদের অনেকের মাঝে একটা ধারণা বদ্ধমূল আছে যে প্রথমবার বিসিএস দিলে নাকি ক্যাডার পাওয়া যায় না! 

এই ধারণাটি সম্পূর্ণ অমুলক। বরং প্রথমবার এর ক্যাডার হবার সুযোগ থাকে বেশি বলেই আমার মনে হয়েছে। একটা বিসিএস পরীক্ষার চাকরীর সার্কুলার জারি থেকে শুরু করে শেষ ধাপে যোগদান করা পর্যন্ত প্রায় ২ বছর সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে ২৯ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয় আগস্ট ২০০৯ এ এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয় ফেব্রুয়ারি ২০১১তে এসে! 

সর্বশেষ ৩৩ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয় জুন ২০১২ এ এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্যাডারগণ সার্ভিসে যোগদান করেন ৭ই আগস্ট ২০১৪ তে! সুতরাং একাদিক বিসিএস দেওয়ার সুযোগ, সংযম আপনার নাও হতে পারে! এক্ষেত্রে প্রথমবারকেই মহাসুযোগ হিসেবে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপাতত একটা জিনিস মনে প্রানে বিশ্বাস রাখা উচিত যে একটা অলরাউন্ড উত্তম প্রস্তুতি আপনাকে অনেক সুযোগের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিবে।

গ। কিভাবে প্রস্তুতি নিবেনপ্রস্তুতির জন্য লেখাপড়ার যে বিকল্প নেই সে কি আর বলতে!! লেখাপড়া বলতে যে লেখা এবং পড়া এই দুটি জিনিসের সমন্বয় সেটা কিন্তু আমরা অনেকেই ভুলে যাই আর এইজন্য আমরা পরীক্ষার হলে অনেকেই সহজ সরল প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুল করি। সাদামাটা অনেক কিছুর উত্তর দিতে গিয়ে অনেক ভেবে সময় নষ্ট করে ফেলি যা আমাদের অভীষ্ট লক্ষে পৌছাতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। সুতরাং প্রস্তুতিতে কোন ধরনের ঢিলেমি একদমই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। 

আপনি বাংলাদেশের এক নম্বর সরকারি সার্ভিস এর সদস্য হবেন সুতরাং প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনাকে এক নম্বরের মত যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। প্রিলিমিনারিতে সিলেক্ট হতে পারা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ। এইজন্য প্রস্তুতিটা আপনাকে একটু আলাদা গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে। একটা দিনকে সকাল, বিকাল ও রাত এই তিন ভাগে ভাগ করে আপনি একটা রুটিন করে নিতে পারেন। ঘুম থেকে অবশ্যই ভোরে উঠা উচিত বলে মনে করি। 

বাসা-বাড়িতে সকালের নাস্তা প্রস্তুত হতে হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি হাত –মুখ ধুয়ে শুকনো বিস্কিট, কেক আর পানি খেয়ে পড়তে বসে যান। সকালে যেকোনো পাঠ্যই ভাল মুখস্ত হয়। সেক্ষেত্রে আপনি সকালে সাধারণ জ্ঞান , বাংলা সাহিত্য পড়তে পারেন। ২/৩ ঘন্টা পড়ে তারপর আপনি সকালের নাশতা সেরে নিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন, ঘরে পায়চারী করতে পারেন। সকালের নিউজটা ও দেখে নিন এক ফাঁকে।

তারপর আবার পড়তে বসুন। এইবার আপনি সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা বিষয়টা নিয়ে বসতে পারেন। একটু সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আপনি সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা বিষয়টা অনুশীলন করেন। ২/৩ ঘণ্টা অনুশীলনকরে আপনি দুপুরের গোসল করা, নামাজ/প্রার্থনা, খাবার এর পর্বটা সেরে নিতে পারেন। তারপর হালকা ঘুম দিতে পারেন। দুপুরের হালকা ঘুম থেকে উঠে আপনি একটু হাঁটাহাঁটি/পায়চারি করতে পারেন। তারপর মাগরিবের আগে আর ঘন্টাখানেক আপনি সকালে যাহা পরেছেন তা রিভিশন দিতে পারেন। 

তারপর সন্ধ্যায় আপনি ইংরেজি ও সাধারণ বিজ্ঞান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় পড়তে পারেন। মোটামুটি এইভাবে একটা রুটিন আপনার মত করে নিতে পারেন। আশা করছি আপনি সফল হবেন। ২। সিলেবাস ও মানবন্টন বাছাই পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস পিএসসির ওয়েব সাইটে পাবেন। এখানে মানবন্টনটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ করলাম।

ক। ব্রেকডাঊন অফ ডা মার্কস

বিস্তারিত বর্ণনায় যাওয়ার আগে আমরা এক নজরে নতুন আঙ্গিকের এই ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবন্টন নিম্নে দেওয়া হল। মোট ২০০ নম্বর, সময় ২ঘণ্টা ৩৫তম বিসিএস থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নতুন প্রশ্নের মান বণ্টনঃ ১। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫ ২। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫ ৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি- ৩০ ৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ২০ ৫। ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- ১০ ৬। সাধারণ বিজ্ঞান-১৫ ৭। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫ ৮। গাণিতিক যুক্তি- ১৫ ৯। মানসিক দক্ষতা- ১৫ ১০। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০ মোট=২০০ মার্ক ।

খ। এক নজরে মানবন্টনের বিশ্লেষণ উপরের এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানবন্টন থেকে এইটা স্পষ্ট যে বাংলা, ইংরেজি, গনিত, সাধারণ জ্ঞান এ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরন মিলে মোট মার্কস হল ৩৫ । ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ব্যাকরন মিলে মোট মার্কস হল ৩৫। গাণিতিক যুক্তি(পাটিগনিত, বীজগণিত, জ্যামিতি ) ও মানসিক দক্ষতা মিলিয়ে মোট মার্কস রাখা হয়েছে ৩০। এই ৩টা অংশ থেকেই মোট মার্কস থাকছে ১০০ যা সর্বমোট মার্কস এর ৫০%! সুতরাং এই তিনটা জায়গায় বিশাল গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করি। 

এবারে আসি বিজ্ঞান অংশে। সাধারণ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি মিলে থাকছে ৩০ মার্কস। এখানে মার্কস তুলতে পারা খুবই সহজ বলে মনে করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখানে প্রশ্ন রিপিট হয়। সুতরাং এখানে ১০০% মার্কস পাওয়ার প্রচেষ্টা রাখতে হবে। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংক গাইড থেকে এম সি কিউ পড়লেই ৯০% কমন পরবে ইনশাআল্লাহ।

অন্যান্যদের মাঝে আছে ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন থাকছে ২০ মার্কস। এখানে ও কঠিন কোন প্রশ্ন হবে বলে মনে হচ্ছে না। আপনাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে আমার বিশ্বাস। 

বাকি থাকল সাধারণ জ্ঞান যা বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী এই দুইভাগে বিভক্ত। সবচেয়ে বড় আইটেমটিই কিন্তু সাধারন জ্ঞান । এখানে মোট ৫০ মার্কস আছে যাহা মোট মার্কস ২০০ এর ২৫%! বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ছাড়া ও এখানে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ , সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে পড়তে হবে। 

৩। সামগ্রিক প্রস্তুতি কেমন হওয়া চাই এবারে আমরা খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে দেখব বিসিএস এর সামগ্রিক প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া যায়। শুরুতেই একটা বিষয় বলে রাখতে চাই যে আপনি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির জন্য যতটুকু সময় পাবেন রিটেন এর জন্য তার ১/৩ ও পাবেন না। অথচ, ক্যাডার পাবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটা সুপার-ডুপার রিটেন পরীক্ষা দেওয়া এবং খুবই ভাল মার্কস অর্জন করা। সুতরাং প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিটা এমনভাবে নেন যাতে করে রিটেন এর প্রস্তুতিটা ও এগিয়ে থাকে। 

আমি মনে করি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় যদি আপনি তথ্যগুলো ভালভাবে মনে রাখতে পারার মত করে পড়েন, মানে আপনি এমন ভাবে পড়বেন যেটাকে বলে “টুটস্ত” ( প্রশ্ন করা মাত্রই অপশন না খুঁজে ছট করে উত্তর দিতে পারার মত করে বুঝে মুখস্ত করা) তাহলে রিটেন এর ৭০% প্রস্তুতি আপনার প্রিলিমিনারির সময় এ হয়ে যাবে। আর আপনি শুধু রিটেন এর সময় এই তথ্য গুলো কে আপানার মত করে সাজিয়ে লিখবেন। একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী তথ্যে সমৃদ্ধ থাকলে সে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আর এইটা পারা উচিত। সুতরাং নিজেকে তথ্যে সমৃদ্ধ করেন।

৪। প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি শুরুটা কিভাবে করবেনপ্রিলিমিনারির প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করবেন এইটা নিয়ে অনেকেই কনফিউশন এ থাকেন। এত এত কনফিউশন এ ভোগার কোন কারনই নেই। প্রথমেই আপনি আগের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন সমাধান করে ফেলুন।

 কমপক্ষে আপনি ১০ বার আগের বছরের প্রশ্ন গুলো সমাধান করুন। তারপর আপনি পিএসসি এর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ৫ বার সমাধান করেন। দেখবেন আপনার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস জন্মে গেছে যে আপনি পারবেন। বাজারে যে গাইড বইগুলো আছে ওইগুলোই যথেষ্ঠ বলে মনে করি ওই প্রস্তুতির জন্য। 

ওই প্রস্তুতি গুলো নিতে গিয়ে আপনি গাইড বইগুলোতে প্রতিটা প্রশ্নের সমাধান এর শেষে দেখবেন ফুটনোট আছে সেইগুলো ভালভাবে “টুটস্ত” করবেন। প্রিলিমিনারিতে টিকতে পারাটা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ । আর এক্ষেত্রে একটা সতর্ক বার্তা, যারা মনে করেন যে অপশন দেখে প্রিলিমিনারি পাশ করবেন তারা বিরাট ভুল করবেন। 

কারন প্রিলিমিনারিতে খুবই কনফিউজড প্রশ্ন থাকে যেখানে মনে হয় সবগুলোই সঠিক উত্তর। আর তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই এমনভাবে প্রস্তুতি নিবেন যাতে করে প্রশ্ন দেখামাত্রই উত্তর নিয়ে কোন কনফিউশন এ ভুগতে না হয় যেটাকে আমি আমার ভাষায় বলছি “টুটস্ত”। প্রশ্ন দেখা মাত্র উত্তর ঠুটের মধ্যে চলে আসা ই “টুটস্ত”! চলুন এইবার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া দরকার দেখে নেই।

ক। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরন মিলে বাংলায় সর্বমোট মার্কস হল ৩৫। প্রিলিমিনারিতে সবচেয়ে কম কমন পড়ে বাংলায়। এখানে তাই মার্কস তোলা বেশ কঠিনই মনে হয় বিশেষ করে সাহিত্য অংশে। ব্যাকরণ অংশে মার্কস ভালোই তোলা যায়। সাহিত্য অংশ পড়তে গিয়ে অনেক সময় মনে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার মত করে ছন্দ তৈরি করে পড়তে পারেন। এখন বাজারের গাইড বইতে ও ছন্দ দিয়ে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টি গুলো মনে রাখার উপায় দিয়ে রাখে।

সাহিত্য অংশে আপনি, সাহিত্যিকদের জন্মস্থান, তাদের অমর সৃষ্টি, বিশেষ সম্মাননা, অমর চরিত্র, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ এইগুলো মনে রাখতে হবে। প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ আর আধুনিক যুগ মিলিয়ে ৩ যুগের ই সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সিনেমা ইত্তাদির নাম ও লেখকের নাম জানতে হবে। এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাকরণ অংশে আগের বছরের প্রশ্ন দেখলে বুঝা যায় কোন জায়গা গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন হয়। তারপর ও ধবনি, বর্ণ, পদ, শব্দ, শব্দের উৎস, শব্দের প্রকারভেদ, বাক্য ও এর শ্রেনিবিভাগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস, কারক-বিভক্তি, বিভিন্ন ধরনের বাক্য এর রুপান্তর (সরল, জটিল, যৌগিক), উপসর্গ, অনুসর্গ ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেফারেন্সঃ জব সল্যুশন, সৌমিত্র শেখরের “বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা”, ও “বাংলা ভাষা ও সাহিত্ত জিজ্ঞাসা” বই দুটি দেখতে পারেন। এর বাইরে ক্লাস ৯-১০ এর বোর্ড এর গ্রামার বইটি পড়বেন।

খ। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি : ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এখানে ও ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ব্যাকরন মিলে সর্বমোট মার্কস হল ৩৫। পরীক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভীতিকর অংশ নাকি ইংরেজি! কিন্তু আমি মনে করি এখানে আপনাদের জন্য ভাল সুযোগ রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার। এখানে গ্রামার অংশে ভোকাবুলারি সহ পড়তে হবে। Preposition Synonym, antonym, Analogy, Voice, Narration, One word substitution, Sentence completion ভাল করে পড়তে হবে। 

Sentence Completion করতে গেলে Grammar and Vocabulary সম্পরকে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে। সুতরাং Tense, modals, conditional ইত্যাদি এর ব্যাবহার ভাল জানতে হবে। Sentence completion, preposition, synonym, antonym, one word substitution থেকে প্রশ্ন থাকেই। সুতরাং বুজতেই পারছেন যে এখানে গুরুত্বটা কেমন দিতে হবে।

গত কয়েকটা বিসিএস এ ইংরেজি সাহিত্য থেকে খুব একটা প্রশ্ন আসেনি কিন্তু প্রথম দিকের বিসিএস পরীক্ষাগুলোতে বেশ প্রশ্ন আসত। প্রথম দিকের প্রশ্ন সমাধান করতে গেলে বুঝাই যাবে এখানে কেমন কি ধরনের প্রশ্ন আসে। সুতরাং ইংরেজি সাহিত্তে ওইভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া যায়। Elizabethan age, Renaissance age সহ অন্যান্য সময়ের সাহিত্য কর্ম ভাল ভাবে পরতে হবে। বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত গল্প, কবিতা, ভ্রমন কাহিনির নাম গুলো জানতে হবে যে কে কোনটি লিখেছেন। আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি, ইংরেজিতে এমসিকিউ কমন না পরলে উত্তর না করাই ভাল।

রেফারেন্সঃ English For Competitive Exams by Professor, Short Cut English পড়লেই এনাফ!

গ। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা গনিত ভীতি আমাদের সবার মাঝেই আছে যেমনটা ইংরেজির ক্ষেত্রে থাকে। আশার বিষয় হল বিসিএস পরীক্ষায় আহামরি কঠিন কোন অংক আসে না। অষ্টম, ৯ম,১০ম শ্রেণির গনিত যদি কেউ ভালভাবে সমাধান করতে পারে তাহলে তার গনিতে আটকানোর কথা না। 

বাজারের যে গাইড বই গুলো আছে সেইগুলো থেকে যেকোনো দুইটা ব্রান্ড এর বই কিনে প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। এক্ষেত্রে এমপিথ্রি, প্রফেসরস আর আরিফ এর শর্টকাট মেথড দেখতে পারেন। গনিতের ক্ষেত্রে একটা টেকনিক হল, অনেক ক্ষেত্রে আপনি অংক এর বিস্তারিত না পারতে পারেন কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি অপশন গুলো যাচাই করে সঠিক উত্তর খুজে বের করতে পারেন। এইজন্য প্রস্তুতি টা ও অবশ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। 

সংখ্যা ও সংখ্যা তত্ত, বাস্তব সংখ্যা, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি, ল সা গু , গ সা গু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, বহুপদী উৎপাদক, সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা; রেখা, কোণ, ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি, সামান্তরিক, পুরক- সম্পুরক কোনের পরিমাপ, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজসংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্তসংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি- সরল ক্ষেত্র ও ঘন বস্তু এবং সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ, পরিসংখ্যান , সময় অভিক্ষা (ঘড়ি)ও সম্ভাব্যতা ভাল করে দেখতে হবে।

তবে, একটা জিনিস বলে রাখি ইংরেজি ও গনিতে প্রশ্ন না বুঝলে বা না পারলে প্রিলিমিনারিতে উত্তর দিতে যাবেন না, কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল উত্তর এই দাগ পড়ে। রেফারেন্সঃ গনিত এর জন্য MP3 গনিত, ও শর্টকাট গনিত এই দুইটা বইই যথেষ্ট। আর ক্লাস ৮, ৯,১০ এর গনিত একটু দেখবনে ভাল করে। মানসিক দক্ষতার জন্য- ওরাকল মানসিক দক্ষতা, অ্যাসিওরেন্স এর গণিত ও মানসিক দক্ষতা বই দুটি দেখলেই চলবে বলে আমার বিশ্বাস।

ঘ। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ (সাধারণ বিজ্ঞান + কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি)

এই অংশে সাধারন বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি মিলে ৩০ মার্কস। মার্কস তোলার মোটামুটি সহজ অংশ বলেই মনে করি। বিজ্ঞানে বেশিরভাগ প্রশ্নই রিপিট হয়। আর কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটি বিসিএস এ নতুন হলেও ব্যাংক পরীক্ষার জন্য নতুন না। 

ব্যাংক গাইড গুলো দেখলে বুঝা যাবে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। ব্যাংক গাইড থেকে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশ্ন পরলে মোটামুটি ৯৮% কমন পরবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই নতুন যুক্ত হলেও এই অংশ নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকার জন্য পরামর্শ থাকল।

রেফারেন্সঃ ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান বা MP3 বিজ্ঞান অথবা প্রফেসর বিজ্ঞান। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এর জন্য ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন এই অংশ থেকে আসে সেইগুলো পড়লেই কমন পরবে ইনশাআল্লাহ।

ঙ। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান নামে সাধারন হলে ও কাজে কিন্তু আপনাকে অসাধারন হতে হবে নাহলে ঠকে যাবেন। এখানে মোট ৫০ মার্কস আছে যাহা সর্বমোট মার্কস ২০০ এর ২৫%! বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে গড়া হলেও এখানে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ , সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে ও প্রশ্ন হয় । 

মোটামুটি একটা প্রস্তুতি নিলে আপনি হয়ত ২৫-৩০ পাবেন কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে প্রিলিমিনারিতে টিকতে হলে ৪০ এর মত পাওয়ার প্রস্তুতি রাখতে হবে। একটু বাড়তি কষ্ট করলে খুব সহজেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ অংশ থেকে ১০ এর মাঝে ৯ পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া সাম্প্রতিক থেকে ও ১০ এর মাঝে ১০ না পেলেও ৮/৯ পাবার কথা। সাধারন জ্ঞান এর কোন সিলেবাস নেই। তারপর ও গত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে বুজতে পারবেন কোন কোন অংশ থেকে বেশি এবং নিয়মিত প্রশ্ন আসে। 

বাংলাদেশ অংশে বিশেষ করে বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের ছোট, বড়, বিখাত, কুখ্যাত, মুক্তিযুদ্ধ, নদী, পাহাড়, বাংলাদেশের ইতিহাস (ইংরেজ আমল-পাকিস্থান আমল ও বাংলাদেশ আমল), বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, জনসংখ্যা; অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা; সরকারব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, জাতীয় পুরস্কার, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, ইত্যাদি ভাল ভাবে দেখতে হবে।

৩৭তম বিসিএস এর আন্তর্জাতিক বিষয়ের যে বিষয়গুলো অবশ্যই দেখা উচিত তার একটা সংক্ষিপ্ত ধারণা দিলাম। দেখুন কোন কিছু বাদ পড়ল কিনা।

১। সকল মহাদেশ পরিচিতি, মহাদেশের বিশেষভাবে বিখ্যাত পরিচিত স্থানের নাম, পরিচয়, ভৌগলিকভাবে বিখ্যাত নাম ও উপনাম। (যেমন, এশিয়া মহাদেশের মধ্য দিয়ে গেছে কোন রেখা গেছে?= ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা, চীনের দুঃখ= হোয়াংহো, পৃথিবীর শীতলতম স্থান= রিজ (এন্টার্কটিকা), বিশ্বের কোন গ্রাম দুটি দেশে অবস্তিত?= পানমুনজাম, ইত্যাদি) 

২। পৃথিবীর বিখ্যাত-কুখ্যাত, ছোট- বড়, বৃহত্তম – ক্ষুদ্রতম, দীর্ঘতম বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এর মধ্যে ব্যাক্তি, স্থান ও অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে।

৩। বিশেষ অঞ্চল পরিচিতি, বিশ্বের কতিপয় জাতিয় নাম ( যেমন ফিনল্যান্ড এর জাতিও নাম- মৌলি, গ্রিসের জাতিও নাম – হেল্লাস)। (রেড ইন্ডিয়ান রা কোথায় বাস করে? উত্তর আমেরিকায়, গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটির কার মালিকানায় আছে? ডেনমার্ক) “সুপার সেভেন, সেভেন সিস্টার্স, থ্রি টাইগার্স, ফোর টাইগার্স, ইন্দোচিন, ইস্ট এশিয়ান মিরাকল, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট, গোল্ডেন ওয়েজ, গোল্ডেন ভিলেজ” 

৪। বিভিন্ন দেশের রাজধানী , মুদ্রা ও পার্লামেন্টের নাম, একই নামে দেশের ও রাজধানির নাম। 

৫। বিভিন্ন দেশের শাসন ব্যবস্থা ও সরকার ব্যবস্থা। 

৬। বিশ্বের বিখ্যাত প্রনালিসমুহ, সীমারেখা, খাল, বিখ্যাত কেলেংকারি, সীমান্ত, বিখ্যাত সকল শহর গুলো কোন কোন নদীর তীরে অবস্তিত, প্রধান প্রধান ও বিখ্যাত সমুদ্র, নদী ও বিমানবন্দর গুলু ও বিমানসংস্থা সম্পর্কে ধারণা। 

৭। বিখ্যাত হ্রদ, দ্বীপ, অন্তরীপ, জলপ্রপাত, মরুভুমি, পর্বত, পর্বতশৃঙ্গ, গিরিপথ, সুড়ঙ্গপথ বাঁধ, জাদুঘর ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা। 

৮। সংবাদপত্র, সংবাদসংস্থা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিখ্যাত প্রাসাধ, অট্টালিকা, ভবন , মেঘাসিটি, সম্পর্কে ধারণা। 

৯। বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও উপনিবেশিক দেশ , উপজাতি ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা। 

১০। জাতিসঙ্ঘ ও এর অঙ্ঘ সংঘটন সম্পর্কে ধারণা। সংঘটনগুলোর সদর দফতর, সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা, কখন গঠিত হয় এবং এর সাথের সম্পর্কিত কোন বিখ্যাত, আলোচিত- সমালুচিত ঘটনা।

১১। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, সামরিক , অর্থনৈতিক জোট , সংঘটনগুলোর সদর দফতর, সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা, কখন গটিত হয়

১২। আলোচিত- সমালুচিত অথবা বিখ্যাত বা কুখ্যাত যুদ্ধসমুহ এর সাথে সম্পর্কিত নেতা (হিটলার, মুসোলিনি) সম্পর্কে ধারণা। বিভিন্ন দ্বীপের মালিকানা নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর মাঝে বিরোধ। 

১৩। বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত সকল চুক্তি ও এর সাথে সম্পর্কিত দেশ, নেতা বা রাষ্ট্রপ্রধানগণ। 

১৪। পুরষ্কার ও সম্মাননা 

১৫। খেলাধুলা ও সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রেফারেন্সঃ নিয়মিত সাধারন জ্ঞান স্টাডি , রিভিশন দিলে এই বিভাগে ও খুব ভাল করা সম্ভব। প্রস্তুতি সহায়ক হিসেবে আপনি প্রফেসরস বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক , আজকের বিশ্ব/ নতুন বিশ্ব বইটি এবং প্রতি মাসের মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সাময়িকিটি পড়ে আপ-টু-ডেট থাকবেন।m চ। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব)+ পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা+ নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন) এখানে ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন থাকছে ২০ মার্কস। 

ভূগোল ও পরিবেশ থেকে আগে ও বিজ্ঞান অংশে প্রশ্ন আসত। সৌরজগৎ, আগ্নেয়গিরি, ভুমিরুপ এইগুলো ক্লাস ৮ এর সাধারন বিজ্ঞান, ক্লাস ৯ এর সামাজিক বিজ্ঞান এর ভূগোল অংশ দেখলে প্রস্তুতি হয়ে যাবে আশা করছি। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন এর ক্ষেত্রে ক্লাস ৯/১০ এর পৌরনীতি পরলে কিছুটা এবং সাধারণ সেন্স কাজে লাগালে প্রস্তুতি হয়ে যাবে।

#আপাতত এইটুকুই। #বানানের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল ত্রুটি পেতে পারেন। ভুল ত্রুটি আপনারা নিজ দায়িত্তে ঠিক করে নিয়ে যাত্রা শুরু করুন। আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকল।

** অবশ্যই ৩৫তম এবং ৩৬তম এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, এবং বুঝুন যে কি স্টাইলে প্রশ্ন আসছে এবং সেখান থেকে ভাল একটা ধারণা নিন যে এত বড় সিলেবাস থেকে আপনার কোন কোন জায়গায় বেশি হিট করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় আপনি যে বিষয়গুলো ভালো পারেন সেগুলো আলো ভালো করে পড়ুন। মনে রাখবেন প্রিলি পাশ করতে আপনাকে ১৫০ মার্ক পেতে হবে না। 

প্রশ্ন যেমনই হউক ১০৫-১১৫ নম্বরই যথেষ্ট। তাই কোন কোন বিষয় থেকে আপনি বেশি মার্ক তুলতে পারবেন সেগুলো আরও ভালো করে পড়ুুন। আরেকটা কথা, এই মার্ক যেহেতু আপনার মূল মার্কের সাথে যোগ হবে না, সুতরাং এখানে উতরে যাবার জন্য আপনাকে দুনিয়ার সব কিছুই পারতে/ জানতে হবে না। ভেচ্ছান্তে মোঃ শরীফ উদ্দিন সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিসিএস প্রশাসন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মমতায় ভরা সুন্দর একটি ঘটনা , অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির বিড়াল মা !

হৃদয় জমে ক্ষীর হয়ে যাওয়ার মতই একটা সুন্দর ঘ’টনা ঘ’টেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে। পথের ধারের একটি মা বিড়াল তার অসুস্থ শিশুকে নিয়ে হাজির হয়েছে সেখানে।ভাগ্য ভালো যে, বিড়ালটি একেবারে সঠিক জায়গাতেই তার সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়েছে। ঠিক হাসপাতালটির ডাক্তার নার্সদের কাছেই বিড়ালটি তার শিশুকে মুখে করে নিয়ে যায়। ডাক্তাররাও হতা’শ করেননি। চরম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ছোট্ট কটন বলের মত সুন্দর আর নরম বিড়ালছানাটিকে তারা তু’লে নিয়েছেন কোলে। পরীক্ষা করে দেখেছেন, বিড়ালটির বিশেষ কোন সমস্যা আছে কিনা। সঙ্গে তাদেরকে কিছু দুধ আর খাবার দিয়ে আপ্যায়নও করা হয়। এসব পেয়ে তারাও একটু শান্ত হয়।মা ও ছানা উভয়েরই স্বাস্থ্য ঠিক আছে বলে জানা গেলেও পরে তাদের পশু ডাক্তারের কাছেও পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।মেরভ ওযকান নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে এই বিড়াল মা ও বিড়ালছানার ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর থেকেই ভাইরাল হয়ে পড়ে ঘ’টনাটি। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

যেভাবে গ্যাস থেকে সৃষ্ট পেট ব্যথা দূর করবেন

খাবারের অনিয়ম বা জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে অনেকেই গ্যাস থেকে সৃষ্ট পেট ব্যথা ভোগেন। অনেক সময় এমন ব্যথা মা’রাত্ম’ক আকার ধারণ করে। এjতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। গ্যাসের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- ব্যায়াম : গ্যাসের ব্যথা কমাতে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম করলে গ্যাসের ব্যথা কিছুটা হলেও নিরাময় হয়। এজন্য মেঝেতে উপুর হয়ে বসে পা দুটি সাইকেল চালানোর মতো রেখে হাত দুটি পাশে রাখুন। বড় করে নিঃশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে গ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন। খাওয়ার পরে কিছুটা হাঁটলেও গ্যাসের সমস্যা কমে। এছাড়া গ্যাসের সমস্যা কমাতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করতে পারেন। পুদিনা পাতা : গবেষণায় দেখা গেছে, পুদিনা পাতার তেল ডায়রিয়া, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টিপেসমোডিক গুণাগুণ পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত গ্যাসের ব্যথায় ভোগেন তারা খাওয়ার আধঘন্টা আগে পুদিনা পাতার ক্যাপসুল খেতে পারেন। গ্যাসের ব্যথা নিরাময়ে এই পাতার রস, তেলও খেতে পারেন। হিট প্যাড : কিছু গবেষণা বলছে, হিটিং প্যাড ব্যবহার করলে অতিরিক্ত গ

দিঘার সমুদ্রে ধরা পড়লো ৬০০ কেজি ওজনের হাঙ্গর’ দাম ৮০ হাজার।

সমুদ্রে মাছ ধ’রাকালীন প্রায়শই মৎস্যজীবীদের জালে বড়ো বড়ো সামুদ্রিক মাছ উঠে আসে। সেই সামুদ্রিক মাছ নিলামে বেশ ভালো দরেই বিক্রি হয়ে থাকে। এবারেও কিন্তু তার অন্যথা হলো না।  সম্প্রতি দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ধ’রা পড়েছে বিশাল আকৃতির এক হা’ঙ্গর! প্রায় ৬০০ কেজি ওজনের ওই হা’ঙ্গরকে দানবের স’ঙ্গে তুলনা করলেও কিছু বেশি বলা হয় না। মৎস্যজী.বীদের জালে এই বিশাল আকৃতির হা’ঙ্গর ধ’রা পড়তেই দীঘার সমুদ্র সৈকতে নিমেষের মধ্যে খবর ছড়িয়ে যায়। হা’ঙ্গর দেখতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান পর্যটকরা এবং স্থানীয়রা। হা’ঙ্গর দেখতে সমুদ্র সৈকতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। উৎসাহী মানুষদের মধ্যে হাঙরের ছবি ক্যামেরা বন্দী করার হিড়িক পড়ে যায়। দানব আকৃতির মাছ উ’দ্ধারকে কেন্দ্র করে এদিন দীঘার সমুদ্র সৈকতে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।এদিকে সমুদ্রগ’র্ভ থেকে দানব আকৃতির সামুদ্রিক হাঙর উ’দ্ধার করার পর মৎস্যজীবীরা সেটিকে দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানেই হাঙরটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষন দরাদরি চলে। শেষমেষ সিরাজ খান নামক এক ব্যবসায়ী মৎস্যজীবীদের থেকে মাছটি কিনে নেন। ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মৎস্যজীবীদের থেকে