মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফের গিলাফ প্রতিবছর বছর ৯ জিলহজ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আর এটি করে থাকে কাবা শরীফের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সৌদি সরকার।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছরের সৌদি সরকার নতুন গিলাফ তৈরিতে খরচ করেছে আনুমানিক ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। গিলাফ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি সোনার সুতা এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা।
ইতালি থেকে এবং সোনা জার্মান থেকে গিলাফে ব্যবহৃত রেশম আনা হয়েছে । গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে সোনার সুতা দিয়ে।
আর প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক এ গিলাফ তৈরিতে সারাবছর কাজ করেছেন। গিলাফটি যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফ নষ্ট না হয় তাই খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়।
এদিকে, সম্প্রতি মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের কাবার গিলাফ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য।
তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত স্থাপনা আছে, তা আরও আকর্ষণীয় করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহার করা উচিত।
সেইসঙ্গে এই দুই মসজিদে ব্যবহৃত জিনিসগুলো দেশের ভেতর ও বাইরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি।
ড. সুদাইসি বলেন, এক্ষেত্রে মসজিদে হারামাইন শারিফাইনের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুনাম সুখ্যাতি বাড়বে। এ কাজগুলো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দুই মসজিদে তাদের একনিষ্ঠ কাজগুলো মানুষের কাছে প্রসংশিত হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন