মা নিজে অনেক কষ্ট করে সন্তানদের সক্ষম করে তোলে।আজ আমরা এই রকমই একজন বিধবা মায়ের সংগ্রাম ও কৌতহলের গল্প বলতে যাচ্ছি যিনি তার সন্তানদের লালন পালন করে তাদের সক্ষম করে তুলতে নিজের জীবন ব্যয় করেছেন। সন্তানরা তাদের বিধবা মা মিরা দেবীর আত্মত্যাগ কখনোই ভোলেননি। তার কন্ডরা কঠোর অধ্যায়ন করেছিলেন এবং প্রশাসনিক পরিষেবার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমানে তার তিন কন্যাই রাজস্থানের প্রশাসনিক চাকরিতে নিযুক্ত আছে। তাদের নাম কমলা চৌধুরী,গীতা চৌধুরী এবং মমতা চৌধুরী। তার স্বামী মারা গেলে তিনি এককভাবে পুরো পরিবারকে নিয়ে এসে সন্তানদের লালন পালন করেছিলেন। 55 বছর বয়সী মীরা দেবী রাজস্থানের জয়পুর জেলার সরং কা বাস গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী গোপাল বহুদিন আগে মারা গিয়েছিলেন।
স্বামীর মৃত্যুর পরে চার সন্তানের দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে। স্বামীর শেষ ইচ্ছা ছিল তার কন্যারা শিক্ষিত এবং স্বনামধন্য কর্মকর্তা হয়ে তাদের নাম উজ্জ্বল করুক।মীরা দেবী ভেবেছিলেন যে তার স্বামীর শেষ ইচ্ছা তিনি পূরণ করবেন তার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং শ্রমজীবী হিসেবে কাজ করে তিনি মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতেন। তার পুত্র তার মাকে সমর্থন করেছিলেন এবং মাকে তার বোনেদের জন্য পড়াশোনা করাতে সহায়তা করেছিলেন।
ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা ও পরিবারের খরচ চালাতে তার প্রচুর অসুবিধা হতো। যখন তাদের কন্যা গুলি বড় হয়ে যায় তখন গ্রামবাসীর ও আত্মীয়-স্বজনরা মীরা দেবী কে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে তবে মীরা দেবী কেবল তার মেয়েদের উজ্জল ভবিষ্যতের কথা ভেবেছেন সবার কথা উপেক্ষা করে এবং তার মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য এবং উৎসাহিত করেছেন।
তার একমাত্র পুত্র রাম সিংহ তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তার নিজের পড়াশোনা মাঝখানে ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তার মায়ের সাথে মাঠে কাজ করতে যেতেন। মীরা দেবী ও তারপুত্র দিনরাত মাঠে কাজ করতেন যাতে কন্যারা পড়াশোনা করতে পারে এবং অফিসার হতে পারে। মীরা দেবীর তিন কন্যা ও তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতেন।
তারা গ্রামের একটি ছোট্ট কাঁচা বাড়িতে থাকত এবং সুযোগ-সুবিধা ও সংস্থার না থাকা সত্ত্বেও তারা কঠোর পরিশ্রম করে দু’বছর ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপরে তারা ইউ পি এস সি পরীক্ষায় উপস্থিত হয়েছিলেন তবে কম নম্বর থাকার কারণে নির্বাচিত হননি। ইউ পি এস সি পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও তারা হাল ছাড়েননি।
রাজস্থান প্রশাসনিক পরিষেবা পরীক্ষা একসাথে দিয়েছিলেন। এই সময় তিন বোনই এই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন। এর মধ্যে বড় বোন কমলা চৌধুরী ও বিসি তে 32 তম এবং গীতা 64 তম এবং তৃতীয় বোন মমতা 128 তম স্থান পেয়েছেন। এই ভাবেই তিন বোন তাদের মা এবং তাদের পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন