রাজধানীর মহাখালীতে চালু হলো দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালটি উদ্বোধন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সার্বিক সহযোগিতা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এই হাসপাতালে ১১২টি আইসিইউ বেড ও ২৫০টি এইচডিইউ বেড রয়েছে। এ ছাড়া আইসিইউ মানের বেড আছে ১৩৮টি। বেডগুলো কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। এর পাশাপাশি হাসপাতালে জরুরি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ৫০টি বেড। মারাত্মক আক্রান্ত নন—এমন রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে আরও ৪৫০টি বেড।
জাহিদ মালেক বলেন, আজ (১৮ এপ্রিল) থেকে কোভিড রােগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এটি চালু করা হলাে। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে থেকে পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালটির জনবল, যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন নির্বাহের সামগ্রিক ব্যয়ভার বহন করবে। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রােগী সেবা কার্যক্রমে নিয়ােজিত থাকবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই বিশাল ভবনটি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার ব্যবস্থা করেছেন, যা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) সকাল ৮টা থেকে এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হবে।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখছি যে ১৫ থেকে ২০ বছরের তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তাদের মৃত্যু কম হচ্ছে। কিন্তু তারা বাসায় এসে মা-বাবাসহ বয়স্কদের সংক্রমিত করছে। তরুণদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা বাইরে যাবেন, তবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। নিজে ভালো থাকবেন, অন্যদের ভালো রাখবেন। আমরা প্রিয়জনদের মৃত্যুর কারণ যেন না হই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন