তরুণীর আ’ত্মহ’ত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মা’ম’লার আ’সামি ব’সুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর হাইকোর্টে আগাম জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।চারপতি মাম’নুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দ’কার দিলী’রুজ্জা’মানের হাই’কোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদনটি শুনানি হবে।
আনভীরের পক্ষে আদালতে শুনানি করবেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি (অব.) মনসুরুল হক চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও সিনিয়র আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।২৬ এপ্রিল (সোমবার) রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে ওই তরু’ণীর লা’শ’ উ’দ্ধারে’র পর দায়ের হওয়া মা’ম’লায় আ’সামি করা হয় সায়েম সোবহান আনভীরকে।
বসুন্ধরার এই শীর্ষ কর্ম’কর্তা দেশের বাইরে চলে গেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লেও আজ তিনি আগাম জামিন আবেদন করলেন। নিয়ম অনুযায়ী আগাম জামিন করতে হলে আসা;মিকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হয়।ঘটনার দিন রা;তেই আনভীরের বি;রু;’দ্ধে মা’ম’লাটি দায়ের হয়েছে গুল’শান থা’নায়। মাম’লাটি করেছেন মুনিয়ার বোন নুসরাত।
মা’মলা’য় অভিযোগ করা হয়েছে, এক বন্ধুর মা’ধ্যমে পরিচয়ের পর ২০১৯ সালে আনভীর মুনিয়া’কে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনা’নীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বস’বাস শুরু করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন’ভীরের পরি’বার মুনিয়ার সঙ্গে তার প্রে’মের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। তখন আমার বোনকে (মুনিয়াকে) আনভী’রের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হু’মকি দেন তার মা।
এ ঘটনার পর আনভীর মুনি’য়াকে কৌ’শলে কুমি’ল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। গত মাসের (মার্চ) ১ তারিখে গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে’র ১৯ নম্বর বাসার বি/৩ ফ্যাটটি ভাড়া নেন আনভীর। ১ মার্চ থেকে মুনিয়া সেই ফ্ল্যা’টেই ছিলেন এবং আনভীর মাঝে মাঝে ওই ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া ক’রতেন।
গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় ইফতার পার্টিতে গিয়ে মুনিয়া ছবি তোলেন। ফ্ল্যাট মা”লিকের স্ত্রী ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করলে সেটি আনভীরের পরিবারের একজন দেখে ফেলেন এবং আনভী’রকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আনভীর মু’নিয়াকেবকা’ঝকা করেন এবং হুমকি দেন। ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া তার মোবাইল নম্বর থেকে নুসরাতকে ফোন করে কা’ন্না’কাটি শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘আনভীর আমাকে বিয়ে করবে না, সে শুধু আমাকে ভোগ করেছে। এছাড়া আমাকে সে ‘মনে রাখিস তোকে আমি ছাড়ব না’ বলে হু’মকি দিয়েছে।এজাহারে বলা হয়েছে, মুনিয়া নুসরাতের কাছে চিৎকার করে বলেন, ‘যেকোনো সময় আমার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তোমরা তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসো।’
মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্ট’নমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাতে গুল’শানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝু’ল’ন্ত ম’র’দেহ উ’দ্ধার করে পুলি’শ।
গুল’শান থা’না সূত্রে জানা যায়, মুনিয়া নি’হ’ত হওয়ার ঘট’নায় এখন পর্যন্ত বে’শ কয়েকজনকে জি’জ্ঞাসা’বাদ করেছে পুলি’শ। বাড়ির মালিক, মালি’কের মেয়ের জা’মাইসহ বেশ কয়েকজ’নকে জি’জ্ঞাসা’বাদ করে মা’ম’লা সং’ক্রা’ন্তবেশকিছু গুরু’ত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই ক’রছে পুলি’শ। এর সঙ্গে সংশ্লি’ষ্টতা পেলেই অভিযু’ক্ত আনভী’রকে গ্রে’ফ’তারের সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
মুনি’য়া যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন সেই ভব’নের বেশকিছু সিসি’টিভি ক্যা’মেরা’র ফু’টে’জও ইতো’মধ্যে সংগ্রহ করেছে পুলি’শ। সেসব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লে’ষণ করে ওই ফ্ল্যাটে সায়েম সোবহান আন’ভী’রের যা’তায়া’তের প্রমাণ পেয়েছে তারা।তবে ঘটনার দিন বা এর আগের দিন মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যা’তায়া’তের কোনো প্রমাণ পাওয়া যা’য়নি। এছাড়া সিসি’টিভি ফুটেজে এই দুই দিন সন্দে’হজ’নক কারও যাতা’য়াত ওই বাড়ি কিংবা ফ্ল্যা’টের আ’শ’পাশে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন