মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। যারা বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে সামান্য পিছ পা হয় না। তাদের জন্য উজ্জল দৃষ্ঠান্ত এই প্রতিবন্ধী। যার দুটি হাত না থাকার পরেও মা’কে ভালোবেসে ২৮ বছর ধরে প্রতিদিন মুখ দিয়ে চামচের মাধ্যমে বৃ্দ্ধ মায়ের মুখে খাবার তুলে দেন চেন নামের এক প্রতিবন্ধী।
সত্যিই এটা মায়ের প্রতি ভালোবাসার অনন্য এক দৃষ্টান্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই খবরটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তির নাম চেন ঝেনগিং। চিনের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় তার বসবাস। যখন তার বয়স সাত বছর তখন বড় ধরনের ইলেকট্রিক শক খেয়ে দুটো হাতই নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।
এদিকে মা গত বছর জুলাই থেকে প্যারালাইস হওয়ার পর থেকে শরীর নাড়াতে পারে না। চেনের বর্তমান বয়স ৪৮। আজ থেকে ২৮ বছর আগে বাবাকেও হারিয়েছেন তিনি। বৃদ্ধ মাকে দেখা শোনা না করে অন্য ভাই বোনেরা পরিবার থেকে সরে গেছে বহু আগে। কিন্তু মায়ের ভালবাসা ছেড়ে কোথাও যায়নি চেন। তাই তো ২৮ বছর ধরে দুই হাত না থাকলেও মুখ দিয়েই শয্যাসায়ি মায়ের মুখে খাবার তুলে দেন চেন।
চেন বলছেন, শীতের সময়টাতেই বেশি কষ্ট হয়। কারণ হাত নেই বলে মোজা পরতে পারে না। ওর চিন্তায় এখনই এটা শিখে ফেলতে না পারলে আসছে শীতে তার মা-কে মোজা পরাতে সে পারবে না। তাই চেন এখন পা দিয়ে মোজা পরার কৌশলটা নিয়ে খুব ব্যস্ত। শীত আসছে, মা-কে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতেই হবে।
২ মিনিট সময় নিয়ে একটু কষ্ট হলেও সবাই পুরোটা পড়বেন, গরিব পরিবারের একটি ছেলের সাথে একই গ্রামের একটি…গরিব পরিবারের একটি ছেলের সাথে একই গ্রামের একটি গরিব মেয়ের বিয়ে হয়! ছেলেটার বয়স ২১ বছরের মত, আর মেয়েটার বয়স ১৬ বছর!বিয়ের পর ছেলেটা মেয়েটিকে বললেন, তোমার কি কোন ইচ্ছে আছে? মেয়েটা বলল, আমার ইন্জিনিয়ার হওয়ার বড় আশা ছিল! এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে শহরে চলে আসে।
মেয়েটিকে ভার্সিটিতে ভর্তি করায়ে লেখাপড়া করায়। ছেলেটা ভোর ৪ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরিশ্রম করে। মেয়েটার লেখাপড়ার খরচ আর সংসার খরচ চালায়। অনেকদিন হওয়ার পরও তাদের মধ্যে কোন স্বামী স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক হয় না!মেয়েটার বন্ধু বান্ধব প্রশ্ন করে ছেলেটা কে? মেয়েটা উত্তর দেয়,সে আমার ভাই! ছেলেটা কখনো রিক্সা চালায়, কখনো দিন মজুরি করে, কখনো ইট ভাটায় কাজ করে, আবার কখনো কুলির কাজ করে l
এভাবে মেয়েটার জন্য, নিজের কথা না ভেবে তা তার জন্য টাকা রোজগার করে মেয়েটাকে ইন্জিনিয়ার বানানো জন্য! হঠাৎ পরীক্ষা চলে আসলো! মেয়েটার ও ছেলেটার কারও চোখে ঘুম নাই। ছেলেটা রাত দিন মিলে ২০ ঘন্টা কাজ কর্ম করে। বাকি ৪ ঘন্টা সংসারের সব কাজ রান্না থেকে শুরু করে সব কাজ করে। এভাবে মেয়েটার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল!
এরপর ছেলেটা একটু কাজ কমায়। পরীক্ষার ফলাফল মেয়েটা পাশ করলো! ভাল জায়গায় চাকরি পেল, অনেক টাকা পয়সা মালিক হলো। বড় বাড়ি, গাড়ি আর অনেক কিছু হলো মেয়েটার l বিভিন্ন জায়গায় থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কেউ জানে না, তার বিয়ে হয়ছে কিনা বা তার স্বামী কে?
মেয়েটা বড় বাড়ি লাইটিং করে, বড় পার্টি দিয়েছে। কিন্তু কেউ জানে না কি জন্য এ পার্টির অয়োজন। সবার একই প্রশ্ন এ কিসের পার্টি। সবাই মিলে মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো এ পার্টি কি জন্য বলবেন? মেয়েটি বলল ১২ টার সময় সবার সামনে বলবো কিসের পার্টি! ছেলেটা সেই লুঙ্গি গামছা আর ছেড়া একটা জামা গায়ে বাড়ির এক কোনায় দাড়িয়ে আছে!
১২ টা বেজে গেলো, এরপর মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে যেখানে কেক রাখা আছে সেখানে নিয়ে এল! সেখানে নিয়ে এসে সবাইকে বললেন, ভদ্র পুরুষ ও মহিলাগন, একে কেউ চিনেন? যার মাথার গাম পায়ে ফেলে, নিজে খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছে। তার জীবনের সব সুখ আমার জন্য বিসর্জন দিয়ে। এই আমার স্বামী যার সাথে বিয়ের পর কোন আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় না! তাকে এই কাপড়ে রেখেছি, যাতে আপনারা তাকে চিনতে পারেন।
এই বাড়ি, গাড়ি, টাকা, তার গায়ের এক ফোটা ঘামের দামও না! আমি তার স্ত্রী, আমার যা কিছু আছে তার ১০০ গুন দিলেও আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। এটাই স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন