সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৮ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে।এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর আটক প্রেমিকসহ ৪ জনকে রোববার সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সঙ্গে সম্প্রতি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যাওয়ার সময় মুরাদপুরের আব্দুল হাকিম নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে তাদের মাঝে যোগাযোগ হয়। এরপর প্রায় দুই মাস উভয়পক্ষ মোবাইলে আলাপের মাধ্যমে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
এ সম্পর্কের সূত্রে শনিবার প্রেমিকা তরুণীকে দেখা করার জন্য মুরাদপুর বাজারে আসতে বলে প্রেমিক। এরপর তরুণী মুরাদপুর বাজারে আসলে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে তরুণীকে নিয়ে গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক টিলার পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় তারা।
এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিক আব্দুল হাকিম বন্ধুদের ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলে। প্রেমিক আব্দুল হাকিমের ফোন পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে অভিযুক্তদের কাছ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন।
এ সময় উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান উপজেলার পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেনকে (২৩) আটক করে পুলিশে খবর দেন।
ধর্ষণের শিকার তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাদী হয়ে রোববার থানায় মামলাটি করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী রোববার বিকালে যুগান্তরকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ৪ জনকে আটকের পর রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন